আগৈলঝাড়া প্রতিনিধি ॥ অপরুপ ছন্দ আর পয়ারে অনবদ্য সুরের মুর্ছণায় ফিরে এসেছে প্রাণের ছোঁয়া। হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার চিরায়ত লোকজ সুরে পুঁথি গানের উৎসবের মাধ্যমে সরকারের ই-সেবা ও ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ডের দোলা দিয়েছে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতার মন। বরিশাল বিভাগে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের পক্ষে জেলার আগৈলঝাড়ায় গ্রামীণ লোকগাথা সুরের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে মুজিব শতবর্ষে ই-সেবা ক্যাম্পেইন। “বাড়ছে সেবার বহর, গ্রাম হবে শহর” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে জেলার মধ্যে একমাত্র আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা মডেল ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারের আয়োজনে শনিবার রাতে ডিজিটাল সেন্টারের সামনে জনগনের দোড় গোড়ায় সকল সেবা পৌছে দিতে সরকারী বে-সরকারী ৫৩টি সেবার বিস্তারিত ধারা বর্ণনা নিয়ে লোকজ সুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে পুঁথি গানের উৎসব। উপস্থিত দর্শক ও শ্রোতারা জমিনে বসে হারিকেন জ্বালিয়ে গ্রামীন ঐতিহ্য অনুসারে পুঁথি গান শুনে মুগ্ধ হয়েছেন। গৈলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ইংরেজি শিক্ষক এমএ মান্নানের লেখা সরকারী, বে-সরকারী সেবা সমুহের ধারা বর্ণনায় স্বপন দাসের পরিচালনায় ‘মাতৃভুমি’ ব্যান্ড সংগীত দলের একঝাক তরুন শিল্পীর বাদ্যযন্ত্রে পুঁথি গানের উৎসবে ছন্দ আর পয়ারে অপরুপ সুর দিয়ে পুঁথি পাঠ করেন সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহাকারী ও সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদ সরদার। সরকারের ই-সেবা ক্যাম্পেইন আয়োজিত পুঁথি গানের উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন গৈলা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল হোসেন টিটু, গৈলা ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলাম রেজাসহ স্থানীয় বাজারের ব্যসায়ি, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন। পুঁথি গানের উৎসব শেষে ওই মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশ মাতৃকার মন্ত্রে উজ্জিবীত বিভিন্ন গান পরিবেশন করেন ‘মাতৃভুমি’ ব্যান্ড শিল্পীসহ স্থানীয় শিল্পীরা।
Leave a Reply